
ছাতকে আকিজ প্লাস্টিকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবারের জন্মভিটা দখলের অভিযোগ
HindusNews ডেস্ক :
ছাতক উপজেলায় আকিজ প্লাস্টিক কোম্পানির দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবারের ১৭ শতক জন্মভিটা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সিবানী রানী চন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিবানী রানী চন্দ জানান, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কুমনা মৌজার ডিসি খতিয়ানের আওতাভুক্ত ১৭ শতক জমিতে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ বছর ধরে তাঁদের সাতটি পরিবার বৈধভাবে বসবাস করে আসছে। নিয়মিত খাজনা প্রদান করে জমি ভোগদখল করলেও সম্প্রতি আকিজ প্লাস্টিক কোম্পানির জিএম মুন্না ও সুহেল নামের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একদল প্রভাবশালী চক্র তাঁদের ancestral homestead দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালী ওই চক্র বারবার তাঁর চাচা সন্টু চন্দকে ডেকে জমি ছেড়ে দিতে ভয়ভীতি দেখিয়েছে ও নানা প্রলোভন দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সন্টু চন্দ এতে রাজি না হওয়ায় চক্রটি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁদের পরিবারের ওপর বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকি, মিথ্যা মামলা দেওয়া এবং জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এসব হুমকির ভিডিও প্রমাণ তাঁদের পরিবার সংরক্ষণ করে রেখেছে বলে দাবি করেন সিবানী রানী।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ২০ নভেম্বর ভূমিদস্যু চক্র তাঁদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। পরে ২৬ নভেম্বর সন্টু চন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। বরং অভিযুক্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং যেকোনো সময় জোরপূর্বক ঘর ভাঙা বা নতুন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সিবানী রানী চন্দ বলেন, “আমরা হিন্দু সংখ্যালঘু মানুষ। আত্মরক্ষার ক্ষমতা আমাদের নেই। ১৭ শতক ভিটে-মাটিই আমাদের শেষ সম্বল। অথচ একটি প্রভাবশালী চক্র সেটি দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাঁদের পরিবারের ওপর চলমান হয়রানি ও দখলচেষ্টার বিষয়টি জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।