
ফটিকছড়িতে চিকিৎসককে ঘিরে পরকীয়া ও প্রতারণার অভিযোগ: নেজাম-পাপিয়া সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকায় এক নারী চিকিৎসককে ঘিরে পরকীয়া, আর্থিক প্রতারণা এবং ধর্মীয় জটিলতার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ডা. পাপিয়া বিশ্বাস এবং দুই সন্তানের জনক নেজাম মাহমুদকে নিয়ে বর্তমানে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সম্পর্কের সূত্রপাত
স্থানীয় ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ডা. পাপিয়া বিশ্বাস নাজিরহাট এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবাদে সেখানে নেজাম মাহমুদের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক হওয়ার বিষয়টি আড়াল করে নেজাম ওই চিকিৎসকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্যতা গড়ে তোলেন। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক গভীর ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়।
গোপন অভিসার ও আর্থিক লেনদেন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র দাবি করেছে, নেজাম ও পাপিয়া দীর্ঘ সময় ধরে গোপনে সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন। বিভিন্ন সময় তাদের একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতে দেখা গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তাদের মধ্যে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিষয় নিয়েও এলাকায় গুঞ্জন চলছে।
অন্ধকারে প্রথম পরিবার, ভাঙনের সুর
নেজামের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা এতদিন এই সম্পর্কের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে নেজামের পারিবারিক জীবনে চরম অস্থিরতা ও মানসিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। অন্যদিকে, ডা. পাপিয়া বিশ্বাস নেজামের বিবাহিত জীবন সম্পর্কে জেনেও এই সম্পর্কে জড়িয়েছেন, নাকি তিনিও প্রতারণার শিকার—তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
ধর্মীয় ও সামাজিক উদ্বেগ
ঘটনাটিতে দুই ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকায় এলাকায় ‘ধর্মীয় জটিলতা’ ও সামাজিক অবক্ষয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, পরকীয়া ও প্রতারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এমন সম্পর্ক সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে এবং পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করছে।
তদন্ত ও বিচারের দাবি
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। তারা বলছেন, এটি কেবল ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং এর সঙ্গে প্রতারণা ও নৈতিক স্খলনের বিষয় জড়িত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।