
বগুড়ায় হিন্দু নারীদের টার্গেট করে অশ্লীলতা ও হুমকির অভিযোগ: অভিযুক্ত শ্রাবণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সনাতনী সমাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের টার্গেট করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠানো এবং প্রকাশ্যে ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে শ্রাবণ আহমেদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক কেবল অশ্লীলতাই ছড়ায়নি, বরং দম্ভভরে ঘোষণা করেছে— “তোদের ধর্মের মেয়ে, পারলে আটকাও।” এই ঘটনায় স্থানীয় সনাতনী সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ‘VEDA'S Ultimate Truth’ নামক একটি সনাতনী পেজে শ্রাবণ আহমেদ নামক ওই ব্যক্তি মেসেজ পাঠিয়ে হিন্দু নারীদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও প্রেরণ করে। এর পরপরই সে পেজটির এডমিনদের উদ্দেশ্য করে লেখে, “তোমাদের মেয়েদের আমি টার্গেট করি, পারলে কিছু করে দেখাও।”
শ্রাবণ আহমেদ নিজের এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় সেখানকার নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ‘ব্রেনওয়াশ’, ‘ব্ল্যাকমেইল’ এবং ধর্মান্তরিত করা তার কাছে ‘পানির মতো সহজ’ বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করে। এমনকি একজন ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা তাকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও সে তার কার্যক্রম বন্ধ করেনি, বরং আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
সাংগঠনিক বিদ্বেষের ইঙ্গিত
সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা ব্যক্তিগত বিকৃতি নয়। এর আগে আফনান আহমেদ নামে আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। ভুক্তভোগীদের মতে, দীর্ঘদিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং দায়মুক্তির সুযোগ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট চক্র সংঘবদ্ধভাবে এই ধরনের ‘লাভ জিহাদ’ বা সাড়ম্বরে ধর্মান্তরিত করার মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রাবণের এই আচরণকে বৃহত্তর সনাতনবিদ্বেষী অপতৎপরতার অংশ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিযুক্তের পরিচয়
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য ও অভিযোগ অনুযায়ী অভিযুক্তের বিস্তারিত পরিচয়:
নাম: শ্রাবণ আহমেদ
গ্রাম: সোনাপাড়া
ইউনিয়ন: জিয়ানগর
থানা: দুপচাঁচিয়া
জেলা: বগুড়া
প্রতিক্রিয়া ও দাবি
শ্রাবণ আহমেদের এমন ধৃষ্টতা এবং প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানির ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ সনাতনী জনতা। তারা বলছেন, এ ধরনের সাইবার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার না হলে সমাজে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। সমাজের সচেতন মহল অবিলম্বে অভিযুক্ত শ্রাবণ আহমেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন স্থানীয় সনাতনী নেতারা।